বিনোদন ডেস্ক।।
শুটিংয়ের ভেতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন টলিউডের অন্যতম অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে ভারতের কলকাতায় প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে নিজ বাড়িতে প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
বুধবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় একটি একটি রিয়েলিটি শো-তে অংশ নেন অভিষেক চট্টোপাধ্যয়। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে জানা যায়, এ অভিনেতা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি।এরপর কিছুটা ভালো বোধ করায় বাড়িতেই ছিলেন তিনি। তবে গভীর রাতে সবাইকে কাঁদিয়ে ওপারে পাড়ি জমান অভিষেক।
এদিকে, এ অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ টলিউড।
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। এক সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালদের সঙ্গে একসারিতে নাম উঠে আসতো তার।
উৎপল দত্ত, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গেছে অভিষেক চট্টোপাধ্যয়কে। কাজ করেছেন শতাব্দী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মতো সমসাময়িক প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সঙ্গেও।
১৯৬৪ সালের ৩০ এপ্রিল জন্ম অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। ১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদারের ছবি ‘পথভোলা’ দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো- ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘মধুর মিলন’, ‘মায়ের আঁচল’, ‘আলো’, ‘নীলাচলে কিরীটি’। শুধু বড় পর্দা নয়, ছোট পর্দাতেও তিনি সমানভাবে সাবলীল অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন।
তবে মাঝে দীর্ঘদিন টলিউডে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আক্ষেপও করেছিলেন এ অভিনেতা। অভিযোগ তোলেন- টলিউডে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানান, রাজনীতির কারণে একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল তাকে। সেই সময় যাত্রাপালা ও মঞ্চনাটক করে সংসার চালাতে হয়েছে।
তবে গত কয়েক বছর ধরে টেলিভিশনের পর্দায় অভিষেকের সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছিল। ‘ইচ্ছেনদী’, ‘পিতা’, ‘অপুর সংসার’, ‘অন্দরমহল’, ‘কুসুম দোলা’, ‘ফাগুন বউ’, ‘খড়কুটো’-এর মতো সিরিয়ালে অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন তিনি
Leave a Reply